কুরবানির গোশত খাওয়া ও অন্যকে দেওয়ায় ইসলামের দিকনির্দেশনা


আত্মত্যাগের অনন্য ইবাদত কুরবানি। এ কুরবানির পশুর গোশত নিজে খাওয়া ও অন্যকে দেওয়াও ইবাদত। এ সম্পর্কে কুরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা। আল্লাহ তাআলা বলেন:

যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থান পর্যন্ত পৌঁছে আর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম স্মরণ করে তাঁর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ করার সময়। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুস্থ-অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।‘ (সুরা হজ : ২৮)

অতঃপর যখন তারা (কুরবানির পশু জবাইয়ের পর) কাঁত হয়ে পড়ে যায় তখন তা থেকে তোমরা আহার কর এবং আহার করাও যে কিছু চায় তাকে আর যে চায় না তাকেও।’ (সুরা হজ : আয়াত ৩৬)


উল্লেখিত আয়াত দুটি থেকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, কুরবানির পশুর গোশত নিজেরা খেতে পারবে, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যারা চায়; তাদেরকেও দেওয়া যাবে। আর না চায় তাদেরকেও দেওয়া যাবে এবং যারা দুস্থ-অভাবগ্রস্ত তারাও খেতে পারবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের উপদেশ ও দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কুরবানি করার এবং কুরবানি নিজে খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য পরিচিত আত্মীয়-স্বজন এবং অসহায়-গরিবদের মাঝে বিতরণ কারা তাওফিক দান করুন। আমিন।